বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য সারা বিশ্বে এখন টাকা ছড়াচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর ওদের (বিএনপির) রাজনীতি মানুষ হত্যায়। ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে বিএনপি-জামায়াত নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল। তাদের কী মানুষ চায় বলেন? তাদের মানুষ চায় না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আমরা শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। এ সময় বরিশালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি বরিশালে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই লক্ষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। তিনি দায়িত্ব নেয়ার তিন বছরের মধ্যে তা ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। তিনি অসহায়দের জন্য অকাতরে সব বিলিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিল। এরপর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ ক্ষমতায় আসে। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূলে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।