আন্তর্জাতিক

গাজায় নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ছুঁই ছুঁই

গাজায় নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ছুঁই ছুঁই
থেমে নেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত দেইর আল বালাহ শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৫ জন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে নিহতের সংখ্যা এখন কমপক্ষে ২১ হাজার ৯৭৮। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫৭ হাজার ৬৯৭ জন। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় তিন মাস ধরে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে সেখানকার আবাসিক স্থাপনা, মসজিদ, স্কুল এবং হাসপাতাল ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজার কোথাও এখন নিরাপদ নয়। ফিলিস্তিনিরা জীবন বাঁচাতে যেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে সেখানেই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিরীহদের প্রাণহানি ঘটছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, গেলো ৮৫ দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৮ হাজার ৮২২ জন নিহত হয়েছে বা নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশিই শিশু। এদিকে ফিলিস্তিনের তরুণরা বিবিসিকে জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চায়। তারা চায় ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ হোক। তবে ফিলিস্তিনিরা চাইলেও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান এ যুদ্ধ এখনই থামার কোনো লক্ষণ নেই। কারণ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। তিনি আভাস দিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনি এ উপত্যকা এবং অন্যান্য স্থানে লড়াই আরও কয়েক মাস চলতে পারে। এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ক্ষমতাসীন হামাস সংগঠনের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ১৩ সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজায় | নিহতের | সংখ্যা | ২২ | হাজার | ছুঁই | ছুঁই