বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন এস এম ফেরদৌস আলম। পণ্যের জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইতে যোগদানের পূর্বে তিনি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিএসটিআই’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়। এস এম ফেরদৌস আলম বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) হিসেবে গেলো রোববার (৩১ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস এম ফেরদৌস আলম ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে কৃষি অনুষদে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ১৯৮৯ সালে তিনি উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ে এমএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচে যোগদান করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মেধাবী ছাত্র ও রংপুর জেলার কৃতি সন্তান। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করে মাঠ প্রশাসন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সেক্টরে সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও বলা হয়েছে, তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, দ্রুত বিচার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এডিসি (জেনারেল), এডিসি (শিক্ষা), এডিসি (রাজস্ব), এডিএম, হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ হিসেবে সিনিয়র সহকারী সচিব পল্লি উন্নয়ন সমবায় বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, উপসচিব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, উপসচিব সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়; পরিচালক, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা (নেকটার) বগুড়া; পরিচালক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ; যুগ্মসচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়া সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন এস এম ফেরদৌস আলম।
উল্লেখ্য, তিনি উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সৌদি আরব সফর করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার সহধর্মিণী অধ্যাপনা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এএম/
