জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬১ জনে পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইশিকাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, নোটো অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়ায় অঞ্চলটিতে নিখোঁজের সংখ্যা কমেছে। পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা ১৯৫ জন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০৩ জনে।
নতুন বছরের প্রথম দিন বিকেলে জাপানের নোটো অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪। একদিন পর সুনামি সতর্কতা তুলে নেয়া হয়।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার অফিসে দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সদর দপ্তরের একটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচাতে দৃঢ়তার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইশিকাওয়াতে ভূমিকম্পে রাস্তার ক্ষতির কারণে কর্তৃপক্ষ এখনও ত্রাণ সরবরাহ করছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সেখানে ৩১ হাজারের বেশি লোককে ৩৫৭ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
ভূমিকম্পের পর ওয়াজিমায় একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শত শত স্থাপনা এবং একটি সাততলা ভবন ধ্বংস হয়।