পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৫ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল খুলনা মহানগরীর ছোট মির্জাপুরস্থ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রী ওই মেয়েটির বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। তিনি ২০২১ সালে এইচএসসি পাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ছবি সংক্রান্ত একটি সমস্যা নিয়ে ৫ দিন আগে পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদের কাছে আসেন ওই ছাত্রী। এ সুবাদে তাকে সহযোগিতা করার কথা বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ ছোট মির্জাপুর রোডের কাগজী হাউজের একটি অফিসের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি খুলনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোনালী সেন, সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) ইয়াজিদ ইবনে আকবর ও খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় অফিসটি তালাবদ্ধ থাকায় পুলিশ কর্মকর্তারা তালা ভেঙে অফিসের কক্ষে প্রবেশ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোনালী সেন বলেন, ফেসবুকে মেয়েটির ছবি শেয়ার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের কাছে আসেন। বিষয়টি মাসুদ দেখছিলেন। আজ সকালে নগরীর ডাকবাংলা এলাকা থেকে মেয়েটি মাসুদের মোটরসাইকেলে করেই ওই প্রতিষ্ঠানে যায়। পরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মেয়েটি অভিযোগ করেছেন।
ঘটনা জানার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় পরে তালা ভেঙে প্রবেশ করা হয়। সেখানে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে মাসুদের মোবাইল নম্বর বন্ধ এবং তিনি পলাতক রয়েছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।