জাতীয়

এমপিদের অবৈধ সম্পদ ভূমিহীনদের বিতরণের আহ্বান টিআইবির

এমপিদের অবৈধ সম্পদ ভূমিহীনদের বিতরণের আহ্বান টিআইবির
নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি ৮০০ একরের বেশি বিধি-বহির্ভূত মালিকানাধীন জমি ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের  আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়। টিআইবি বলছে, দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে দ্বাদশ সংসদ সদস্যের প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। একশত কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ১৫। সংসদের সদস্যদের অস্থাবর সম্পদের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হারও প্রায় ৭০.৪১ শতাংশ। আবার বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ সদস্য। সংস্থাটি তাদের বিবৃতিতে বলেন,  দেশের আইন (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট, ২০২৩) একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষি জমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষি জমিসহ যা ১০০ বিঘা পর্যন্ত যেতে পারে) বেঁধে দিলেও আইনি সীমার বাইরে জমি আছে ১৩ জন সংসদ সদস্যের কাছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর (৩ বিঘায় ১ একর বিবেচনায়)। প্রসঙ্গত, নতুন সংসদ সদস্যদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী, যা সর্বশেষ চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এমপিদের | অবৈধ | সম্পদ | ভূমিহীনদের | বিতরণের | আহ্বান | টিআইবির