অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তারকৃত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আজ সোমবার (১৬ মে) সকালে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ কথা জানান বলে সংশ্লিষ্ট থেকে জানা যায়। এরপর মেডিকেল চেকআপের জন্য ইডি দপ্তরে নেয়া হয়। পিকে-কে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে।
বিশেষ করে পিকে ও তার ভাই প্রীতিশ কুমার হালদারকে আলাদাভাবে জেরা করে পাচারের ‘অর্থ বিনিয়োগ’ নিয়ে সব তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পিকে। মাঝেমধ্যে কাঁদছেন।
এবার পিকে হালদার জানালেন, দেশে ফিরতে চান তিনি।
চেকআপ করে ফেরার পথে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চান কিনা? প্রথমে চুপ থাকলেও লিফট দিয়ে নামার সময় পিকে বলেন, ‘আমি দেশে ফিরতে চাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।’
জানা গেছে, ইডির তদন্ত শেষ হলেই বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হবে তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারকারী পিকে হালদারকে। ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তিনিসহ গ্রেপ্তার ৬ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ভারতীয় অর্থসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি) পশ্চিববঙ্গ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়টি রোববার বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সারাদিন ধরে ইডির কর্মকর্তারা পিকে হালদারসহ তার সহযোগীদের বিভিন্ন অফিসে হানা দেন এবং বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করেন। বর্ধমানের কাটোয়া, উত্তর২৪ পরগনা ও দক্ষিণ২৪ পরগনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিকে হালদার, উত্তম মিত্র, প্রীতিশ হালদার ও প্রীতিশ হালদারের স্ত্রী ও জামাতা সঞ্জীব হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দপ্তরে নিয়ে পিকে হালদারকে একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৪০টিরও বেশি প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সে অনুযায়ী পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।