ঢাকার বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন (চার্জ গঠন) করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন নাসিরসহ তিন আসামি।
এর আগে গেলো মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি শাহ শহিদুল আলম। শুনানিতে আসামিদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি চান। আর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের আর্জি জানানো হয়। উভয়পক্ষের কথা শুনে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজ বুধবার (১৮ মে) দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গেলো বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন গেলো ৭ সেপ্টেম্বর তিন জনকে আসামি করে আাদলতে অভিযোগপত্র দেন। তারা হলেন— নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহিদুল আলম। বর্তমানে তিন জনই জামিনে রয়েছেন।
অনন্যা চৈতী
