আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

মির্জা ফখরুলরা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত : কাদের

মির্জা ফখরুলরা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত : কাদের

পদ্মা সেতু নির্মাণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার (২০ মে) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন স্বপ্নবান মানুষ, যিনি বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাঙালির ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে একমাত্র শেখ হাসিনাই পরিপূর্ণ আত্মনিবেদন করেছেন। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মহিমান্বিত নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের একটি অনন্য মাইলফলক হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। আজ যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার পরিণতি দেখতে সুপ্ত বাসনা লালন ও ষড়যন্ত্র করেন, তাদের বলতে চাই পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার স্মারক।

 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই বিএনপি ও তার দোসররা এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তখন খালেদা জিয়াসহ একটি চিহ্নিত মহলের মন্তব্যগুলো ছিল কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। এসব ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা শুধু সরকার বিরোধিতাই ছিল না, বরং ছিল দেশদ্রোহিতার শামিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ কোনোদিন করেনি, বরং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির হাত ধরেই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে নির্মূল করার অপরাজনীতি শুরু হয়। আর তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বার বার আক্রমণের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভালো করেই জানা উচিত যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যদি খালেদা জিয়ার মৃত্যুই কামনা করতেন, তাহলে উচ্চ আদালত কর্তৃক একাধিকবার জামিন বাতিল হওয়ার পরও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ঘরে রেখে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন না; বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করার সুযোগ দিতেন না।

তিনি বলেন, বিএনপির শিষ্টাচারের ভাষা তো গ্রেনেড, গুলি আর ষড়যন্ত্র। সুতরাং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে শিষ্টাচার শেখাতে আসবেন না। দেশের রাজনীতিতে শিষ্টাচার ও উদারতা যদি কেউ দেখিয়ে থাকেন, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মির্জা | ফখরুলরা | বিভ্রান্তি | সৃষ্টির | পাঁয়তারায় | লিপ্ত | | কাদের