আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইরান। এই আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। এ বিষয়ে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।
গেলো মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তেহরান জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ আল-আদল বা ‘আর্মি অফ জাস্টিস’-এর ঘাঁটি। ইরানের দাবি, এই জঙ্গি সংগঠন তাদের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানের হামলার পর পরই গর্জে ওঠে ইসলামাবাদ। তারা বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইরানে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের হামলায় ইরানে অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের। ইরানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাক হামলায় নিহতদের ‘নিজের লোক’ বলে দাবি করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে, পাক হামলাকে ভালো চোখে দেখেনি ইরানও। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবারই তেহরানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ‘প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ’ কূটনীতিককে তলব করেছে এবং তাঁর কাছ থেকে পাক হামলার কৈফিয়ত চেয়েছে।
এই আবহে ইরান-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, শান্তি বজায় রাখতে হবে। বুঝতেই পারছেন, ওই এলাকায় ইরানকে কেউ খুব একটা পছন্দ করে না। এই সংঘর্ষই তার প্রমাণ। আমরা দেখছি কী করা যায়। তবে কী হতে চলেছে, বলা যাচ্ছে না।
আমেরিকার এই অবস্থান প্রকাশ্যে আসার পর কূটনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কি ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান?