সন্ধ্যার পরই নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে সিরাজগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা। জেলা দুটিতে কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সিরাজগঞ্জে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া দিনাজপুর এবং নওগাঁর তাপমাত্রাও ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। বেশ কয়েকটি জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
মাঘের শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম। তাপমাত্রা কমে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সোমবার (২২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল ৬টায় গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা করা হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি শীত মৌসুমে এটাই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত ২৪ ঘণ্টা আগেও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, সিরাজগঞ্জে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কয়েক দিন ধরে দিনে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। উষ্ণ কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ির আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এখানে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়ায় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। জানুয়ারি মাস জুড়েই শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে আসায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে অটোরিকশা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আজ সকাল থেকে সূর্য কুয়াশা ভেদ করে ঠিকমতো তাপ ছড়াতে পারেনি। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে চরম শীত অনুভূত হচ্ছে। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন শীত আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানান তিনি।