মুশফিকুর রহিম, জন্মগত এই নামটার চেয়েও বেশি পরিচিত মিস্টার ডিপেন্ডেবল হিসেবে। কারণটা অনেকেরই নিশ্চয় জানা। দলের বিপদের মুহুর্তে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও অনেক কাব্যিক ইনিংস খেলে জন্ম দিয়েছেন অনেক উপন্যাসের।
বাংলাদেশকে পাইয়ে দিয়েছেন অনেক বিজয়। মাঠে সববময় সিরিয়াস থাকে মুশি। মাঠের বাইরেও। কোনো সিরিজি কিংবা টুর্নামেন্ট চলাকালে সিডিউল অনুশীলন না থাকলেও তাকে দেখা যায় ব্যাট হাতে অনুশীলন করতে। কখনো বা কিপিং অনুশীলন করছেন তিনি।
কিন্তু তিনি কখনো হয়ে উঠেন সংবাদের নেতিবাচ শিরোনামে। যেমনটা চলমান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, তাকে (মুশফিক) জাতীয় দল থেকে সম্মানের সাথে বিদায় নেওয়ার কথা।
তাতেই বরং ভালো হয়েছে তারা। চট্টগ্রামে করেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। ঢাকা টেস্টেও করেছেন ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। যা তার ক্যারিয়ারের নবম।
অর্থ্যাৎ ছন্দে রয়েছেন মুশি। তার বাবা মাহবুব হামিদ তারা- মুশফিকুর রহিমের বাবা। ছেলে যেখানেই খেলেন, বাবার আপ্রাণ চেষ্টা থাকে সেখানে ছুটে এসে মাঠে বসে খেলা দেখার। ব্যতিক্রম হয়নি চলমান ঢাকা টেস্টেও।
শক্ত হাতে মুশফিক যখন লঙ্কান বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন, দর্শকের আসনে ছিলেন তার বাবা। ম্যাচ দেখার ফাঁকেই তিনি জানালেন, মুশফিক অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত তিন ফরম্যাটেই খেলে যেত চান, আর ফর্মে থাকা অবস্থায়ই বলতে চান বিদায়।
শুধু মুশফিকের বাবাই নন, দেশের ক্রিকেট প্রেমীদেরও চাওয়া সম্মানের সাথেই জাতীয় দল থেকে বিদায় নিবেন মুশি। মুশির ছন্দে থাকা প্রকাশ পেয়েছে চলমান ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে তার দুষ্টুমির ছবি। নানা রকম মজা করছেন তিনি।
হাসিব মোহাম্মদ