নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ শেষে “নিখোঁজ” হওয়া দুই বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যের একজনের খোঁজ মিলেছে। রাসেল চন্দ্র দে নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ওই কনস্টেবল নিজ ইচ্ছায় ইউরোপীয় দেশটিতে থেকে গেছেন। তিনি পুলিশের চাকরি করতে চান না বলে তার পরিবারকে জানিয়েছেন।
গেলো ২৮ মে (শনিবার) একটি বেসরকারি টেলিভিশন তাদের অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
সে প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ কনস্টেবল রাসেল চন্দ্র দে’র বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লাইন্না কাটা এলাকায়। নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ শেষে “নিখোঁজ” হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাসেল কক্সবাজারে তার পরিবারের সঙ্গে একবার যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ তার খবর না জানলেও তার পরিবার তার খবর জানে।
রাসেলের বরাত দিয়ে বড় ভাই সুভাষ চন্দ্র বলেন, সে পালিয়ে আছে। এ নিয়ে রাগারাগি করলে ফোন কেটে দিয়ে পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, রাসেল ২০১৬ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। ২০২১ সালের জুনে সে বিয়ে করে। তার সংসারে তিন মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডগ স্কোয়াডের কুকুর ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে গেলো ৯ মে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম নেদারল্যান্ডস যায়। ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে গেলো ২৪ মে দলের ছয় জন সদস্য দেশে ফিরে আসলেও দুইজন আসেননি।
ফিরে আসা সদস্যরা জানিয়েছেন, ফিরতি ফ্লাইটের আগের দিন ওই দু’জন ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গীরা তাদের আর কোনো খোঁজ পাননি। খোঁজ না পেয়ে ৬ সদস্য দেশে ফিরে আসেন।
ওই দুইজনের মধ্যে রাসেলের বাড়ি কক্সবাজার ও শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লায়। রাসেল সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইন ও শাহ আলম মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ব্যারাকে থাকতেন।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন নাকি কোথাও বিপদে পড়েছেন, তা জানা যায়নি। পালিয়ে যাওয়া দুই কনস্টেবল হলেন, রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম।
তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মির্জা রুমন