অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা হয়ে আছে কিছুদিন আগে থেকেই। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ আয়োজনের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। সব জায়গায় চাওড় হতে থাকে আবারো ঢাকায় বসবে এশিয়া কাপের আসর।
তবে এবার স্পষ্টই জানা গেলো লঙ্কাতেই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্ট। ভেন্যুতে পরিবর্তন না এলেও পূর্বনির্ধারিত সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। আগের সূচি অনুসারে টুর্নামেন্টটা শুরু হওয়ার কথা ২৭ আগস্ট। তবে তা থেকে তিন দিন এগিয়ে আগামী ২৪ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপ শুরু করতে চায় আয়োজকরা।
নানা জটিলতার কারণে ২০২০ সালে এশিয়া কাপ মাঠে গড়ায়নি গেলো চার বছর। লঙ্কানদের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এবারো কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে সমস্যার পাশ কাটিয়ে শ্রীলঙ্কাতেই বসছে এশিয়ান ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের ১৮তম আসর। বিষয়টি প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা নিউজ।
সংস্থাটির একটি সূত্র স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সূচিতে সংঘর্ষ এড়াতে পাকিস্তানসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দল সূচিতে কিছুটা পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাতটি টি-টুয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান।’
মূলত ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতেই হওয়ার কথা ছিলো টুর্নামেন্টটি। তবে করোনা বাধ সাধে তাতে। এরপর ২০২১ সালে একই কারণে বাতিল হয় তা। এরপর এ বছর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিদ্ধান্ত হয়, শ্রীলঙ্কার মাটিতে এ বছর এশিয়া কাপ হবে আগস্টের শেষ দিকে।
এবারের এশিয়া কাপে মোট ছয়টি দল অংশ নেবে। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাসহ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান খেলবে মূল পর্বে।তার আগে হবে বাছাইপর্ব। সেখান থেকে আসবে একটি দল। এশিয়া কাপ সাধারণত ওয়ানডে ফরম্যাটেই হয়ে থাকে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর ফরম্যাটে আয়োজন হয় এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের এই আসর। ২০১৬ সালে প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়েছিলো এশিয়া কাপ। তবে ২০১৮ সালে আবারো ওয়ানডে ফরম্যাটে ফেরে এই টুর্নামেন্ট। সে আসরে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
মেঘ হাসান