আইন-বিচার

এজলাসে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া কেন নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

এজলাসে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া কেন নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
আদালতের এজলাস কক্ষে আসামিদের জন্য লোহার খাঁচার পরিবর্তে কেন কাঠগড়া স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে এই রুল জারি করেছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে আদালত জানিয়েছেন, আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫ এর সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং কেন লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হবে না। একই সঙ্গে সারাদেশে কোন কোন আদালতে এই ধরনের লোহার খাঁচা রয়েছে সে ব্যাপারে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আইন সচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন আদালত। এর আগে গেলো ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলাবর সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এই রিট করেন। তাদের আইনজীবী শিশির মনির জানান, অধ্বঃস্তন আদালত ও ট্রাইব‍্যুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর বেশির ভাগ ঢাকায় অবস্থিত। এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে। আবেদনে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে গেলো বছরের ১৬ অক্টোবর লোহার খাঁচা অপসারণে ১০ আইনজীবীর পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়। ১০ আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন এজলাসে | লোহার | খাঁচার | পরিবর্তে | কাঠগড়া | কেন | জানতে | চান | হাইকোর্ট