বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা তাদের ভিন্ন ধরনের কাজ এবং রীতিনীতির জন্য অন্যদের থেকে আলাদা। যার অনেক কিছুই আমাদের কাছে একেবারেই স্বাভাবিক নয়। আমাদের কাছে যা অস্বাভাবিক সেগুলোই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটা করে পালন হয়।
আমাদের দেশে যৌনতা ব্যাপারটা একটু রাখঢাক থাকলেও বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে এটি খুবই খোলামেলা ব্যাপার। নানান দেশে এই ব্যাপার নিয়ে আছে নানান রীতি এবং প্রথা।
আফ্রিকার এক দেশ আছে যেখানে কুমারী মেয়েদের কখনও বিয়ে হয় না। বয়ঃসন্ধি শুরু হলেই তাদের থাকতে হয় গ্রামের অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে শিখতে হয় যৌনজীবনের খুঁটিনাটি। যে মেয়ে যত বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে পাত্রী হিসেবে তার কদরই সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মেয়েদের বাবা গিয়ে পিতৃসম পুরুষের কাছে মেয়েকে দিয়ে আসেন। আবার, ছত্তিশগড়ের আদি জনজাতি গোন্ডদের মধ্য আবার বিয়ের আগেই অবাধ যৌনতার রীতি চালু আছে।
পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরে সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ট্রোবায়ান্ড দ্বীপমালা। পাপুয়া নিউগিনির অন্তর্গত এই দ্বীপগুলোতে বাস করে ট্রোবায়ান্ডার নামের এক উপজাতি। কিলিভিলা ভাষায় কথা বলে তারা। ঘন জঙ্গলের মাঝে থাকা। উর্বর সমতল জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। সেই ফসল ট্রোবায়ান্ডাররা বেচে আশপাশের দ্বীপগুলোর মানুষকে।
কুলা নামে এক ধরনের ঝিনুকের চকচকে খোলাই এদের কাছে টাকা। এই কুলার বিনিময়েই চলে এদের বাণিজ্য। অত্যন্ত অল্প বয়সে এই উপজাতির ছেলেমেয়েরা প্রবেশ করে যৌনজীবনে। ছেলেরা দশ–বার বছর এবং মেয়েরা পাঁচ বছর বয়সেই জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে। বয়স্কদের সামনে দিয়েই বালক বালিকারা দল বেঁধে জঙ্গলে চলে যায় যৌনমিলন করতে। কেউ বাধা দেয় না তাদের।
সব চেয়ে অবাক করা তথ্য, এইটুকু বয়সেই তারা তাদের ইচ্ছে মতো যৌনসঙ্গী নির্বাচন ও পরিবর্তন করতে পারে। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই কাজের জন্য তাদের কোনো শাস্তি পেতে হয় না। কারণ ট্রোবায়ান্ডারদের সমাজ যৌনতাকে খাবার খাওয়ার মতোই স্বাভাবিক ও বাধ্যতামূলক বলে মনে করে।