টুকিটাকি

৩৫ বছরের সংসার, ‘পাকিস্তানি’ বধূকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ ভারতের

সারদা কুকরেজার বয়স ৫৩ বছর। ৩৫ বছর ধরে সারদা ওড়িশার বোলাঙ্গিরের বাসিন্দা। কিন্তু এতদিন ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি। সম্প্রতি তাকে নোটিশ দিয়ে অতিসত্বর দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। তার কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। এই নোটিশ পাওয়ার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচন্দ্র মাঝির কাছে তাড়িয়ে না দেয়ার আর্জি জানিয়েছেন সারদা।

সারদার জন্ম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে। ১৯৮৭ সালে তার বাবা চার বোন ও পাঁচ ভাইকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন। প্রথমে তাদের ৬০ দিনের ভিসা ছিল। এরপর আর ওই দেশে ফিরে যাননি। সারদার ভাই-বোনেরা ভারতের বিভিন্ন শহরে রয়েছে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। ৩৫ বছর আগে ওড়িশার কোরাপুট জেলায় থাকার সময়, ১৮ বছরে বয়সে বোলাঙ্গিরের মহেশকুমার কুকরেজার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। পরিবারে রয়েছেন ছেলে-মেয়ে ও তাদের সন্তানরা। তবে নোটিসে শুধুমাত্র সারদাকেই দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

দেশে থাকতে দেয়ার আবেদন জানিয়ে সারদার দাবি, তার আধার কার্ড রয়েছে। ভোটও দেন। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তার সঙ্গে ভারতে আসা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। কিন্তু সারদার কাছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে। তবে ভারতীয় বধূর দাবি, ‘আমার আধার কার্ড আছে। বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটও দিয়েছি। তবে আমাকে ভারতীয় নাগরিত্ব দেওয়া হয়নি।’ তার দাবি সত্যি হলে, প্রশ্ন উঠছে তিনি অন্য দেশের নাগরিক হয়ে ভোটার বা আধার কার্ড পেলেন কী করে?

এই নোটিশ পাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন সারদা ও তার পরিবার। সারদা বলেন, “যদি কোনও সরকার আমার আবেদন না মেনে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়,  আমি কোথায় যাব? কার সঙ্গে দেখা করব? ওই দেশে আমার কেউ নেই। ১৯৮৭ সালের পর আমি আর পাকিস্তানে ফিরে যাইনি। কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। এত বছরে কাউকে ফোন করিনি।’ বোলাঙ্গির জেলার এসপি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারদাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও একজন কাশ্মীরি মারা যাওয়ার পর ভারত এদেশে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনও পযর্ন্ত ওড়িশা সরকার সারদাসহ ১২ জন পাকিস্তানিকে দেশ ছাড়ার নোটিস দিয়েছে।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সারদা | কাশ্মীরি | পহেলগাঁও