বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর ইব্রাহিম পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর এক গুরুতর এবং শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ইসলাম বা কোনও ধর্মই মানুষের ক্ষতি করার শিক্ষা দেয় না। তার মতে জঙ্গিরা কোনো ধর্মের প্রতিনিধি হতে পারে না, তাদের কোনও ধর্ম হয় না। দীপিকা এর পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।
প্রথমে শোয়েব ইব্রাহিমকে বিয়ে করার পর দীপিকা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পূর্ণ নিষ্ঠায় ধর্মীয় উপচারের সাথে রোজাও রাখেন। যদিও তিনি নিজে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তিনি ধর্মীয় বিভাজন এবং ধর্মের নামে মানুষ হত্যা নিয়ে খুবই স্পষ্ট মতামত পোষণ করেছেন। দীপিকা বলেন, যতটুকু ইসলামকে আমি জানি এবং বুঝি, সেখানে কোনও সত্যিকার মুসলিম মানুষ হত্যার মতো ঘৃণ্য কাজ করতে পারে না।
গেলো এপ্রিলের পহেলগাঁও কাণ্ডে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর যখন একাধিক মানুষ ধর্মের সাথে ঘটনার সম্পর্ক টানছিলেন, দীপিকা সেই সমস্ত ধারণাকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মের নামে এমন হামলা করা কখনোই অনুমোদিত হতে পারে না। কোনও ধর্মই এই ধরনের সহিংসতার শিক্ষা দেয় না। সুতরাং, যারা এই কাজ করছে, তাদের আসলে কোনও ধর্মই নেই।
দীপিকা শুধু ইসলাম বা তার ধর্মীয় পরিচয়ের ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করেননি, তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন। কাশ্মীরে ঘটনার পর থেকে দেশে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে দীপিকা আশাবাদী যে সবাই শান্তি এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জাতীয় ঐক্য, যাতে কোনোরকম বিভাজন বা সংঘর্ষের সৃষ্টি না হয়।
পহেলগাঁও হামলার একদিন আগেই দীপিকা কাশ্মীর থেকে ফিরে এসেছিলেন। এক বছরের পুত্র ও স্বামী শোয়েব ইব্রাহিমকে নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু ওই হামলার দিন সকালে দিল্লি ফিরে আসেন। তার ভক্তদের মধ্যে অনেকেই ভেবেছিলেন, দীপিকা হামলার সময় কাশ্মীরে ছিলেন। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, হামলার দিন সকালে দিল্লি পৌঁছেছিলেন।
দীপিকা আরও বলেন, ইসলাম সহ কোনও ধর্মই মানুষকে হত্যা বা নিষ্ঠুরতা করতে উৎসাহিত করে না এটা জানি। সবাই একে অপরের প্রতি ভালবাসা, শান্তি ও সহযোগিতার মাধ্যমে থাকতে শেখে। সেই জায়গা থেকে, আমি বলব, ধর্মের নামে যে সহিংসতা বা অরাজকতা চলছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এসকে//