আইন-বিচার

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও

বায়ান্ন প্রতিবেদন

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও এখন থেকে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পাবেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

এ রায়ের ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল।

পরিপত্রে যা বলা হয়েছে

২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক পরিপত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, একই পদে কর্মরত কোনো সরকারি কর্মচারী দুই বা তার চেয়ে বেশি টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে থাকলে নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। তবে ইতোমধ্যে একটিমাত্র টাইম স্কেল অথবা সিলেকশন গ্রেড পেলে নতুন স্কেলে শুধু একটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন।

পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রদত্ত এসব আর্থিক সুবিধা কোনোক্রমেই ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে দেয়া হবে না। পরবর্তীতে পরিপত্রের এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সংক্ষুব্ধ সরকারি চাকরিজীবীরা।

মূল পে-স্কেলে যা বলা আছে

সরকারি চাকরিতে নিচের স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ সীমিত। এসব পদোন্নতিবঞ্চিতদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বহুল আলোচিত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের পুরোনো প্রথা বাতিল করে। একইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রথা প্রবর্তন করে। নতুন স্কেল অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী একই পদে ১০ বছর চাকরি করার পর পদোন্নতি না পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এরমধ্যে একটি পাবেন চাকরির ১০ বছর পর (১১তম বছরে)। আর অপরটি ১৬ বছর পর অর্থাৎ ১৭তম বছরে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল পে-স্কেলে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এই নিয়ম কার্যকর করতে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করে একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। মূল পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার তিন মাস পর, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিপত্র জারি করা হয়।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সরকারি চাকরিজীবী | হাইকোর্ট