মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫৮ সদস্য পালিয়ে বান্দরবনে বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের অংশে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ চলছে। মিয়ানমার থেকে আসা গুলি ও মর্টার শেলে আহত হয়েছেন ৩ বাংলাদেশি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইন-চার্জ এসআই মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত ৩ টা থেকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে থেম থেমে গোলাগুলির আওয়াজ আসতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আসা ১০ জনের মধ্যে প্রথম দফায় আসা চারজন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য ও দ্বিতীয় দফায় আসা ৬ জন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আএসও) সদস্য।
বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রিত বিজিপি সদস্য
এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন প্রবীর চন্দ্র ধর ও একজন নারী (নাম-পরিচয় জানা যায়নি)। তারা দুজনই হিন্দু পাড়ার বাসিন্দা। আহত অপর বাংলাদেশির পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গুলিতে আহত বাংলাদেশি নাগরিক
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাসরুকি জানান, গোলাগুলি ও সংঘর্ষে প্রাণহানির শঙ্কায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির অনেক সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আশ্রিতদের অস্ত্র ও গুলি বিজিবি’র হেফাজতে আছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আরও অনেক বিজিপি সদস্য সীমান্ত পথে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান জানান, আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া অবস্থানে রয়েছে বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরা।