মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) আরও ২৭ জন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৫ জনে।
গতকাল (রোববার) থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৫ জনের পালিয়ে আসার এই তথ্য পাওয়া গেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে বিজিপির সদস্যরা অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
শরীফুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। রাত ১২টার দিকে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ জনে। আজ সকালে এসেছেন আরও ২৭ জন। মোট ৯৫ জন।
এর আগে গতকাল সোমবার প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের দুদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
আরাকান আর্মি হলো মিয়ানমারের জান্তা সরকার উৎখাতে লড়াইরত কয়েকটি সংগঠনের জোট। এখানে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং টা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মতো সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন।