নরসিংদীর শিবপুরে ডাকাতি মামলার ৭ আসামিকে একটি পাইপগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও ১৭.৫২ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতিতে জড়িত ৬ জন ও লুট করা মাল কেনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদীর রায়পুরা থানার বটতলি খামারপাড়া এলাকার শেখ ফরিদ (৩৫), শিবপুর থানার নৌকাঘাটা এলাকার আবুল কাশেম (৪২), নরসিংদী সদর থানার চস্পকনগর এলাকার নূরুল ইসলাম (২৯), রায়পুরা থানার দড়িবালুয়াকান্দি এলাকার মোক্তার হোসেন (৪৪), চর-আড়ালিয়া এলাকার আল আমিন (২৯) ও নরসিংদী সদর থানার বকশালীপুরা এলাকার রাজিব (২২)। এছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় পলাশ থানার ভাটপাড়াদিঘির পাড় এলাকার শিপন চন্দ্র সূত্রধর।
পুলিশ সুপার (এসপি) জানান, গেলো ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শিবপুর থানাধীন যশোর বাজার ইউনিয়নের দেবালেরটেক এলাকার হাজী মোঃ মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জনের ডাকাত দলটি টিনসেড ঘরের বারান্দার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ৭ জন ডাকাত রুমে প্রবেশ করে গৃহকর্তার স্ত্রীকে ছুরি ও পাইপগান ধরে জিম্মি করে আলমারির তালা ভেঙ্গে ১৯ লাখ লুট করে। এছাড়াও শরীরে থাকা স্বর্ণের গয়না ছাড়াও আলমারিতে রক্ষিত ১৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ একটি বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ডাকাতরা নগদ টাকা সহ মোট ৫৩ লাখ ছত্রিশ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিবপুর থানায় মামলা করেন।
এসপি বলেন, মামলা দায়েরের পরে আমিসহ জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়কারী শিপন চন্দ্র সূত্রধকে গ্রেপ্তারসহ তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, নগদ অর্থ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পাইপগান ও ৪ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। জড়িত অন্য আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।