কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছরের কন্যা শিশুকে পুকুরে নিক্ষেপ করে এক পাষন্ড পিতা। এ ঘটনার পর অলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ঘটনাটি গেলো ২৮ মে ঘটলেও ১ জুন পাষন্ড ওই পিতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
গেলো বৃহস্পতিবার (২ জুন) হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করে ওই পিতাকে কুড়িগ্রাম কোর্টে সোপর্দ করেছে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর পুত্রের সাথে প্রায় ৭ বছর আগে দক্ষিণ বাঁশজানী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে সুমা খাতুন (২৫) এর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সুমনা খাতুন (৫) ও ঝুমরী খাতুন (৩) নামে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কন্যা সন্তান জন্মের ঘটনা নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় প্রায় ৪ মাস আগে সুমা খাতুন তার সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার ৩ মাস পর স্বামী শফিক হোসেনও শ্বশুর বাড়িতে এসে অবস্থান করতে থাকে।
ঘটনারদিন, গেলো ২৮ মে রাতে স্ত্রী, ২ কন্যা ও স্বামী শফিক হোসেন রান্না ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে স্ত্রী সুমা খাতুনের ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখেন ছোট মেয়ে ঝুমরি খাতুন (৩) ও স্বামী শফিক হোসেন বিছানা ও ঘরে নেই। পরে আত্মীয় স্বজনসহ খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং ভোরবেলা পার্শ্ববর্তী আলম মিয়ার পুকুরে পানির মধ্যে শুকনা বাঁশ ধরে আটকে থাকা মেয়েটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এঘটনার পর থেকে স্বামী আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গেলো ১ জুন পার্শ্ববর্তী বাঁশজানী বাজারে শফিককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিশু কন্যাটিকে পুকুরে ঢিল মেরে পালিয়ে আসে বলে জানায়।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করলে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধৃত শফিক হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার (২ জুন) তার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করে।
