পাকিস্তানের সরকার গঠন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পিএমএল-এন ও পিপিপি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকেই পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য একে অপরের পাশে থাকতে সম্মত হয়েছেন উভয় দলের নেতৃস্থানীয়রা।
আজ সোমবার (১২ জানুয়ারি) সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে বলে ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক খবরে জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, দুই দলের উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে লাহোরে অবস্থিত বিলাওয়াল ভুট্টোর বাড়িতে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিপিপির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিএমএল-এনের মুহাম্মদ শেহবাজ শরিফসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকজন।
বৈঠকের পর এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে ‘রাজনৈতিক সহযোগিতার নীতিতে’ একটি ঐকমত্য হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে দেশকে বাঁচাবেন বলে একমত হয়েছেন নেতারা। পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং তার বাবা আসিফ আলী জারদারি দলের অন্যান্য নেতার সঙ্গে পিএমএল-এনের দেওয়া পরামর্শগুলো আলোচনা করবেন। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, কারও সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে সরকার গঠন করতে না পারলে তারা বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন গহর আলি খান।
দেশটির গণমাধ্যম ডনের সঙ্গে আলাপকালে গহর বলেন, আমরা পিপিপি ও পিএমএল-এনের সঙ্গে আলাপ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। তাদের সঙ্গে জোট করে আমরা সরকার গঠন করব না। তাদের সঙ্গে জোট গড়ার চেয়ে এককভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করাই ভালো।
গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের নির্বাচনে নওয়াজের দল ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে, অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জয়ী হয়েছে ৫৪ আসনে। তবে ১০১ আসন নিশ্চিত করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল কারাবন্দি ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি। এই অবস্থায় ইমরান খানের প্রার্থীদের পাশ কাটিয়ে নির্বাচনে দুই ও তিন নম্বর অবস্থানে থাকা নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।