দেশজুড়ে

চোখ-মুখে সুপার-গ্লু দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

চোখ-মুখে সুপার-গ্লু দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
চোখ-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটায় চোরেরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে পাইকগাছার রাড়ুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে যান। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে চোখে সুপার-গ্লু আঠা লাগিয়ে ও মুখে টেপ লাগিয়ে ধর্ষণ করা হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এ সময় চোরেরা ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল এবং আনুমানিক ২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গৃহবধূর স্বামী বলেন, একতলা ছাদের উপরের সিঁড়ি ঘর খোলা ছিল। আমার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপার-গ্লু আঠা দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষক। আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছেন না তাই কয়জন চোর ছিল এখনই বলা যাচ্ছে না। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ হয়েছেন কিনা বা সুপার-গ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কনক হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগী নারী যখন আসেন তখন তার দুই চোখের পাতা আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা গাইনি ও চক্ষু বিভাগে তার চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ নন। তবে আশা করছি দ্রুত তিনি স্বাভাবিক হতে পারবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চোখমুখে | সুপারগ্লু | দিয়ে | গৃহবধূকে | সংঘবদ্ধ | ধর্ষণ