কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারসহ ৬ আসামিকে ফের ১৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) বিশেষ সিবিআই আদালত এ রায় দেন। আসছে ২১ জুন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
পি কে হালদারসহ বাকি অভিযুক্তরা হলেন, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।
এর আগে, দুই দফা রিমান্ড শেষে গেলো ২৭ মে কলকাতা নগর দায়রা আদালত ৭ জুন পর্যন্ত তাদেরকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীরা বেআইনি ব্যবসা চালু করে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গেলো ১৪ মে পি কে হালদারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে ভারতের অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
পরে তাদের আদালতে তোলা হলে প্রথমে ৩ দিনের ও পরে আরও ১০ দিনের হেফাজতে নেয় ইডি। গ্রেপ্তার ছয়জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় শ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় পি কে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের দেয়া বয়ান রেকর্ডও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিস পায় ইডি। আদালতে ইডি জানায়, পি কে হালদারের ৪৪টি ব্যাংক একাউন্ট আছে যেখানে প্রায় ৬০কোটি টাকা ক্যাশ রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়াতে ৭টি ফ্লাটসহ প্রায় ৪০টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি।
এছাড়াও গ্রেপ্তারের পর তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সংস্থাটি।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনো প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করা হবে না। কলকাতাতেও প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বিপুল টাকার উৎস তারা জানাতে পারেননি।