কক্সবাজার সৈকতে তরুণীকে লাঠি দিয়ে মারধর ও হেনস্তার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের তথ্য দিয়েছে গ্রেপ্তার হওয়া ফারুকুল ইসলাম। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, গেলো বৃহস্পতিবার এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছেন ফারুক। সৈকতে এ ধরনের ঘটনা যেনো আর না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। ফারুককে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গেল ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে হেনস্তার শিকার তরুণী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় ফারুকুল ইসলাম ও নয়ন রুদ্র নামের দুই যুবকের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের ফজল মাকের্ট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ ফারুকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত ফারুকুল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার মাজেদুল ইসলামের ছেলে। তবে তিনি কক্সবাজারে শহরের বাহারছড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
উল্লেখ্য, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণীর হেনস্তার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আই/এ