কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে ধর্ষণের সাথে জড়িত দুই যুবক ও ধর্ষণে সহয়তাকারী এক নারী রয়েছে।অপর একজন সহয়তাকারী পলাতক রয়েছে।
গেলো বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাগেশ্বরী পৌরসভার সাঞ্জুয়ারভিটা নামক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার হোসেন।
তরুনীর স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন ওই তরুণী বিকেলে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে খালাবাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। পথে খোকা মিয়ার সাথে দেখা হলে সে তরুণীকে বাইকে করে পৌছে দেয়ার কথা বলে। এরপরে ওই যুবক তাঁর বন্ধু মুসা মিয়াকে ডেকে এনে দুইজন ওই তরুণীকে নিয়ে সাঞ্জুয়ারভিটা গ্রামের শাহ আলমের বাড়িতে যায়।
সেখানে যুবতীকে দুই যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আভিযোগ আছে শাহ আলম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম নিজ বাড়িতে বহুদিন থেকে মেয়ে দিয়ে অসামজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার যুবতীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়ে দুইজনই চলে যায়। পরে যুবতীকে শাহালম ও তার স্ত্রী খুশি বেগম একটি ঘরে তালা দিয়ে বন্দি করে রাখে।
ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা জানান, অনেক খোঁজাখুজির পর লোকজনের সহয়তায় শাহ আলমের বাড়ি হতে রাত ৮টার দিকে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মেয়ে হাবাগোবা প্রকৃতির। তাঁর মেয়ের সামনেই অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শাহ আলমের স্ত্রী খুশি বেগম ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। তাঁর মেয়ে সব কিছুই তাকে জানিয়েছে।
এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন তরুণীর বাবা।
প্রসঙ্গত, গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আটকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।