পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ করেছেন রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলি চাট্রা। এর জেরে পাকিস্তান জুড়ে তোলপাড় শুরু করেছে ইমরান খানের দল। দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বিচারপতির পদত্যাগের দাবি করছে তাঁরা। জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের দাবি করেছে নওয়াজ শরীফের দলও।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের মুখপাত্র বলছেন, সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি নিয়ে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্রা যে কথা ফাঁস করেছেন তাতে সিইসি সিকান্দার সুলতান রাজা এবং প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসাকে পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে লিয়াকত আলীর এ বক্তব্য পিটিআই-এর অবস্থানকেই সমর্থন করছে যে,কীভাবে রাতের অন্ধকারে জনসাধারণের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার এই বক্তব্য নির্বাচনী কারচুপির সাথে জড়িত অন্যদের আসল চরিত্রও প্রকাশ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) রাওয়ালপিন্ডির এই কমিশনারের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
দলটির তথ্য সচিব মরিয়ম আওরঙ্গজেব, কমিশনার চাট্রার ব্যবহৃত সমস্ত যোগাযোগ চ্যানেলের গভীর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং তার নাম বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকায় (ইসিএল) রাখার দাবি জানিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই কমিশনার কোনও আরও বা ডিআরও ছিলেন না, যারা নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নির্বাচনের কাজ সম্পাদন বা বাস্তবায়নে কমিশনারের কোনও সাংবিধানিক দায়িত্ব বা কর্তৃত্ব নেই।
প্রসঙ্গগত, গেলো ১৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা ওই শহরে ভোট জালিয়াতির সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি নিজের ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারও দাবি করেন।