কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় সূত্র ধরে বিয়ের কথা বলে ইউএনও তার সরকারি বাসভবনে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পারিবারিকভাবে ওই ছাত্রীর বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হলে, তিনি বিয়ের জন্য ইউএনওকে বলতে থাকেন। ইউএনও বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন এবং টাঙ্গাইল শহরের পাওয়ার হাউসের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসায় তারা দুই মাস থাকেন।
ভুক্তভোগী আরও জানান,গেলো ২০২১ এর ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) নিয়ে কলকাতায় যান ইউএনও। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে হায়দরাবাদে যান। সেখানে তারা দুজন চিকিৎসা নেন। পাসপোর্ট দেখে তিনি জানতে পারেন মনজুর হোসেন বিবাহিত। সেখানে থাকার সময় তার মোবাইল ফোন থেকে দুজনের ভিডিও ও কথোপকথন মুছে ফেলেন ইউএনও। ভারতে ১২ দিন অবস্থানের পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ইউএনও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালত এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে পুলিশ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৩৯৩ ধারা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরপর দুই কার্যতালিকায় মামলার বিবাদী সাবেক ইউনও অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন ইউএনও মো. মনজুর হোসেনকে বাসাইল থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব