বিএনপি জাতীয় সংসদেই নেই, সে কারণে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দল হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। ২৮ অক্টোবর বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নানা ধরনের হামলার প্রেক্ষিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছিল। আদালত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছেন। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি এখনো সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে আছে সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিক্ষোভ করলে আমাদের তো সেখানে কিছু বলার নেই। তারা যদি ভাঙচুর করে, জানমালের ক্ষতি করে, চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, আইনের বাইরে কিছু ঘটিয়ে ফেলে, তখন আমাদের কিছু করণীয় আছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি কী করবে এটি তাদের ওপর নির্ভর করে।'
বিএনপি বলছে তারা নির্বাচন মানে না—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আগে থেকেই তো বলে আসছে। সারা বিশ্বের নেতারা এই নির্বাচন দেখে মনে করেছেন একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এতই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, পুলিশের আইজি মহোদয়ের ভাইও ফেল করেছেন। আমাদের রানিং মন্ত্রীরা ফেল করেছেন। কাজেই একটা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশ কেন, পৃথিবীর সবাই এখন বলছেন, একটা সুন্দর নির্বাচন এখানে হয়েছে। কারা মানলো, না মানলো সেটার জন্য কিন্তু বসে থাকে না। সময় ও স্রোত কখনো থেমে থাকে না।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যাবর্তন চুক্তি করতে আগ্রহী সৌদি সরকার। এ ক্ষেত্রে আপত্তি নেই বাংলাদেশেরও। প্রস্তাব পাওয়ার পর সরকার ভেবে দেখবে বিষয়টি। চুক্তি হলে দুই দেশে থাকা অপরাধীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে।
তিনি বলেন, সে দেশে বাংলাদেশি কেউ অপরাধ করলে তারা তাদের ফিরিয়ে দিবে এবং সে দেশের কেউ আমাদের দেশে অপরাধ করলে আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিবো।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অস্থিরতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না। রোহিঙ্গাদের পাঠানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব দ্রুত মিয়ানমারের অবস্থা ভালো হবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবে। বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এএম/