আর্কাইভ থেকে জাতীয়

কালেমা মুখে নেমে পড়েন দগ্ধদের বাঁচাতে (ভিডিও)

কালেমা মুখে নেমে পড়েন দগ্ধদের বাঁচাতে (ভিডিও)

বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর সবাই যখন নিজ জীবন বাঁচাতে মরিয়া, ঠিক তখনই মানবতার বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসেন ক্ষুদ্র চা-দোকানি হানিফ। নিজ জীবনের তোয়াক্কা না করে উঠে পড়েন দোকানের টিনের চালে। এর পর ডিপোর নিরাপত্তা বেষ্টনী বেয়ে একে একে উদ্ধার করেন অন্তত ৩০ জনকে। 

তবে, পোড়া শরীর হাত-পা ভাঙা মানুষগুলোকে কাঁটাতার দেয়া প্রায় ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল পার করা অতো সহজ ছিল না হানিফের পক্ষে। চোখে-মুখে কিছু না দেখে শেষমেশ বাড়ি থেকে মই এনে উদ্ধার করেন তাদের। 

অন্যদিকে ডিপোর দক্ষিণ পাশের পকেট গেট খুলে দেয়ার পর, বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে দলে দলে ছুটে আসেন বিস্ফোরণে আহতরা। কারও নেই হাত, কারও নেই পা, আবার কারও ঝুলছে নাড়ীভুঁড়ি, জ্বলছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ।

ভয়ংকর দৃশ্য দেখে সবাই যখন নিজ নিজ জীবন বাঁচাতে মরিয়া। তখন এড়িয়ে যেতে পারেননি মাসুদ। কলমা পড়ে প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করেন অন্তত ১০০ জনকে। সবশেষে বোনদের ওড়নাগুলো দিয়ে গা ঢেকে হাসপাতালে পাঠান আহতদের।

প্রত্যেকটি দুর্যোগে হানিফ-মাসুদের মতো কিছু মানবতার ফেরিওয়ালা এসে হাজির হন। আর নিঃস্বার্থভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপদগামীদের প্রাণ বাঁচাতে। তাদের এই মানবিক কাজের জন্য সম্মাননা প্রাপ্প বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী আমিনুল হক (বাবু)।

হানিফ-মাসুদরা আছেন বলেই আজও বেঁচে আছে মানবতা। তাদের এ মহৎ মানবতার পরিচয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সমাজে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কালেমা | মুখে | নেমে | পড়েন | দগ্ধদের | বাঁচাতে | ভিডিও