প্রায় এক হালি বছর পর কলকাতার ভক্তরা মাতবেন জেমসের সেই দরাজ কণ্ঠে। বাংলাদেশ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও জেমসের ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। কলকাতায়ও তার অনুষ্ঠান থাকলে বাংলাদেশের মতোই উন্মাদনা তৈরি হয়। সেই কলকাতায় গেলো চার বছর আর গান করা হয়নি জেমসের! দেশ-বিদেশে বছরজুড়ে কনসার্টের ব্যস্ততা লেগে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মমতার রাজ্যে ব্যাটে-বলে মেলেনি নগরবাউলের।
দীর্ঘ দিনের বিরতি কাটিয়ে আগামী ৩ মার্চ কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টে গাইবেন বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। ‘পূজোওয়ালাদের গান পূজো’ শীর্ষক এই কনসার্টের আয়োজন করছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
জেমস ছাড়াও ওইদিন অনুষ্ঠান করবে কলকাতার ব্যান্ড ‘ফসিলস’। ওইদিন বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান।
জেমস মানেই তারুণ্যের উন্মাদনা। আবার গানের সুরে আকাশের কাছে তিনি জানতে চান মায়ের কথা। তার গানেই বাবাকেও কত রাত না দেখার দুঃখও উঠে আসে। ৫৯ বছর বয়সী রকস্টারের গানের জোয়ারে ভাসে এপার-ওপার দুই বাংলার শ্রোতারা।
বাংলাদেশি সিনেমায় জেমসের গান বেশ জনপ্রিয়। দু’বার তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শুধু দেশীয় প্লেব্যাক নয়, বলিউডেও রাজত্ব করেছেন এই রক তারকা। বলিউডেও জেমসের ভক্তের সংখ্যা কম নেই। একসময় টানা বলিউডের গানও গেয়েছেন তিনি। ভিগি ভিগি, আলবিদা কিংবা চাল চালের মতো হিন্দি গান শ্রোতাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল।
এক সময় নিয়মিত কলকাতাবাসীর জেমসের কনসার্ট দেখার সুযোগ হতো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজকাল কলকাতায় খুব একটা অনুষ্ঠান করেন না তিনি। চার বছর পর রকস্টার ফের মাতাবেন নেতাজি ইন্ডোর। ঘটনাচক্রে ফসিলসের লিড সিংগার খোদ রূপম ইসলামও জেমসের একনিষ্ঠ ভক্ত। একই মঞ্চে দুই বাংলার দুই তারকার সুরের বন্ধনের সাক্ষীও হবেন কলকাতাবাসী। তাই তো আয়োজকেরা কনসার্টের ট্যাগ লাইন রেখেছে ‘দুই বাংলার মেলবন্ধন’।