বিভিন্ন ঘটনার পর অবশেষে প্রায় এক যুগ পর আবাসন খাত ব্যবসায়ীদের একমাত্র সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের (রিহ্যাব) অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের ঘোষণার পর বাণিজ্য সংগঠনটির নির্বাচন নিয়ে প্রাণ ফিরে পায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। এরই মধ্যে প্রার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন ।
তবে নির্বাচন কমিশন প্রথমে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করলেও পরে তা পিছিয়ে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচনে ভোটের ভেন্যু নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে নানান কৌতূহল ছিল শুরু থেকেই। কারণ বিজিএমইএ ও রিহ্যাবের নির্বাচন সাধারণত পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারের নির্বাচনও রাজধানীর যেকোনো একটি পাঁচ তারকা হোটেলে করার অনুরোধ করেছিল প্রায় সব প্যানেলই। তবে নির্বাচন কমিশন খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটকে বেছে নিয়েছে। যদিও এখানে ভোটের দিন কোনো চাপ প্রয়োগ হতে পারে- এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন একাধিক প্রার্থী। তবে কমিশন বলছে, ভোট সুষ্ঠু করার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ভোটের পরিবেশে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য উপস্থিতি থাকবেন। গণমাধ্যমের সামনেই একটু পর পর ব্রিফ করা হবে, স্ক্রিনের মাধ্যমে দেখানো হবে নির্বাচনের পরিবেশ।
নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একাধিক প্রার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রিহ্যাব নির্বাচন নিয়ে এখন শঙ্কা নেই, নির্বাচন হবে। তবে শঙ্কা হলো ভোটের পরিবেশ নিয়ে। আমরা চাই সুষ্ঠু ভোট। ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীরা আসুক, এটা চাই। নির্বাচিত নেতা এলে সংগঠনকে বুঝতে পারবেন নেতারা।’
তবে ভোটার ও প্রার্থীদের সুষ্ঠু ভোটের বিষয়ে আশ্বস্ত করছেন রিহ্যাব নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুব্রত কুমার দে (যুগ্ম সচিব) বলেন, ‘কোনো ছবি নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে বা হচ্ছে না সে বিষয়ে জানি না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ভোটের পরিবেশ ভালো থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য উপস্থিত থাকবেন। স্ক্রিনের সাহায্যে দেখানো হবে ভোটের চিত্র। ভোটের পরিবেশ নিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় গণমাধ্যমকে ব্রিফ করা হবে।’
রিহ্যাব সূত্র বলছে, প্রায় এক যুগ পর ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হতে যাচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনটির। নির্বাচনে ঢাকার ২৯ পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ৮৬ প্রার্থী। আর চট্টগ্রামের তিনটি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী আছেন সাতজন। চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চারটি প্যানেলে হয়েছে। প্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- রিহ্যাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ‘আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’, সেঞ্চুরি রিয়্যালটির চেয়ারম্যান এম জি আর নাসির মজুমদারের নেতৃত্বে ‘ডেভেলপারস ফোরাম’, রিহ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘নবজাগরণ প্যানেল’ এবং সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশনের এমডি ইন্তেখাবুল হামিদের নেতৃত্ব ‘জয়ের ধারা প্যানেল’।