সঙ্গী মা হচ্ছেন। শারীরিকভাবে কিছুই টের পেতে হচ্ছে না। কিন্তু মানসিক টানাপড়েন তো আছেই। নতুন সদস্য আসার উত্তেজনা, আনন্দের মাঝে সঙ্গীর যত্নআত্তি, চিকিৎসা, মেজাজ- সবই সামলে চলতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে হবু মা এবং বাবা দু’জনেরই ভূমিকা রয়েছে। হবু মাকে ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু হবু বাবার কাঁধেই থাকে। তাই প্রথম বার বাবা হওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১. ধৈর্যশক্তি বাড়িয়ে তুলতে হবে:
সমস্ত দিক সামাল দিতে গিয়ে অল্পতে রেগে যাওয়া, হাল ছেড়ে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হবু বাবাদেরও আসতে পারে। যা সঙ্গীর মনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিজেকে এই সময়ে যতটা সম্ভব সংযত রাখতে হবে।
২. সঙ্গী কী চাইছে সে দিকে খেয়াল রাখুন:
এই সময়ে মেয়েদের শরীর এবং মন নানা ধরনের পরিবর্তেন মধ্যে দিয়ে যায়। তাই মন-মেজাজ বিগড়ে থাকে প্রায়ই। বাইরের কাজ সামলে সঙ্গীর মেজাজের সঙ্গে পাল্লা দেয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তবু চেষ্টা করতে হবে তার সুবিধে-অসুবিধের দিকে খেয়াল রাখতে।
৩. গর্ভধারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত:
প্রজননে সাহায্য করেই হাত গুটিয়ে নেয়ার কোনও কারণ নেই। সঙ্গী যেমন মা হবেন, তেমন আপনিও বাবা হবেন। তাই গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম- প্রতিটি বিষয়ের খুঁটিনাটি জেনে রাখা প্রয়োজন।
৪. জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে:
সন্তানধারণ করেন মেয়েরা। একই সঙ্গে সন্তান জন্ম দেয়ার আনন্দ এবং কষ্ট সহ্য করার অভিজ্ঞতা পুরুষদের হয় না। তবে সন্তানকে সুস্থ ভাবে বড় করে তুলতে হবু বাবাদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
৫. নতুন বাবাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন:
প্রথম বার বাবা হওয়ার উত্তেজনা তো থাকেই। তবে প্রথম বার নিজের ঔরসজাতকে স্পর্শ করার আগে বন্ধুদের থেকে পরামর্শ নিয়ে রাখতে পারেন। আজকাল সমাজমাধ্যমে নানা ধরনের গ্রুপ থাকে। প্রয়োজনে নতুন বাবাদের গ্রুপে যোগ দিন। অনেক কিছু জানতে পারবেন।