দিনটা শুরু হয়েছিল চিড়িয়াখানায় একসঙ্গে ঘোরা দিয়ে। কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। স্ত্রীর সঙ্গে চিড়িয়াখানা ঘুরতে গিয়ে সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান ২৫ বছরের যুবক অভিষেক আলুওয়ালি। আর এই শোক সহ্য করতে না পেরে, আত্মঘাতী হন স্ত্রী অঞ্জলি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
স্বামীকে হারিয়ে বাড়ি ফেরার পরই সাত তলা থেকে ঝাঁপ দেন অঞ্জলি। গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ সবাই।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গেলো ৩০ নভেম্বর বিয়ে হয় অভিষেক ও অঞ্জলির। বিয়ের পর সোমবার তারা দিল্লি চিড়িয়াখানা ঘুরতে যান। চিড়িয়াখানা ঘোরার সময়ই বুকে ব্যথা অনুভব করেন অভিষেক। সঙ্গে সঙ্গেই অভিষেকের বন্ধুদের ফোন করে ডাকেন অঞ্জনি। অভিষেককে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অভিষেকের।
এরপর রাত ৯টা নাগাদ নবদম্পতির বাড়ি গাজিয়াবাদের বৈশালীর আলকোন অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছয় অভিষেকের দেহ। স্বামীর দেহ বাড়ি পৌঁছতেই, সেই শোক সহ্য করতে না পেরে দৌড়ে সাততলার বারান্দায় চলে যান অঞ্জলি। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে, সাততলার বারান্দা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন অঞ্জলি। গুরুতর জখম হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অঞ্জলি।
অভিষেকের এক আত্মীয় জানান, "অভিষেকের দেহ বাড়ি আসার পর, তার পাশেই বসেছিল অঞ্জলি। তারপরই হঠাৎ উঠে দাঁড়ায় ও ব্যালকনির দিকে দৌড়ায়। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ও ঝাঁপ দিতে যাচ্ছে। আমিও ওর পিছন পিছন দৌড়াই। কিন্তু আমি ওকে থামাতে যাওয়ার আগেই, ও ঝাঁপ দেয়।"