সজনে একটি অতিপরিচিত পুষ্টি ও খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ সবজি। এতে প্রায় ৩০০ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজনে পাতায় আছে বলে সজনেকে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়। পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সজনে ডাটার পাশাপাশি সজনে পাতাও বিশেষ ভূমিকা রাখে। বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করলেই হেঁশেলে সজনে ডাঁটার দেখা মেলে। শুক্তো, চচ্চড়ি কিংবা রুই মাছের পাতলা ঝোল— একটু সজনে ডাঁটা পড়লে তা স্বাদে, স্বাস্থ্যগুণে ভরে ওঠে। প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, কপার এবং ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে সজনে ডাঁটায়। সংক্রমণজনিত নানা রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে নিয়মিত ডাঁটা খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরাও।
সজনে ডাঁটা শরীরে আর কী কী উপকার করে?
এক. আর্দ্রতা বজায় রাখে:
ডাঁটায় জলের পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি দূর করতে পারে এই সব্জি। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাঁটার জুড়ি মেলা ভার। কোনও দিন জল খাওয়া কম হলেও শরীর ডিহাইড্রেটেড হওয়ার ভয় থাকবে না, যদি পাতে ডাঁটা থাকে।
দুই. পুষ্টিগুণে ভরা:
শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম সজনে ডাঁটা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। পাশাপশি, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রনের গুণে সমৃদ্ধ এই সব্জি হাড় ভাল রাখতে এবং বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে।
তিন. শরীর ঠান্ডা রাখে:
প্রাকৃতিক ভাবেই ডাঁটা ঠান্ডা। তাই অতিরিক্ত গরম পড়লেও দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে দেয় না এই সব্জি। শরীর গরম হয়ে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হয়, ক্লান্ত লাগে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তাই গরম কালে নিয়মিত ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
চার. হজমে সহায়ক:
গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ওষুধ না খেয়ে নিয়মিত খেতে পারেন ডাঁটা। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই সব্জি।
পাঁচ. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে:
ডাঁটায় রয়েছে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও ডাঁটায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে।