কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে মাসুদ পারভেজ (৩৪) নামের এক দুবাই প্রবাসী নববিবাহিত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী ধর্মপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই দিন সকালে নিজ বাড়ির উঠানের আমগাছে মায়ের শাড়ী গলায় পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ।
নিহত মাসুদ পারভেজ ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আবু বক্করের ছেলে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বাড়ির কাজের লোকজন এসে মাসুদকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঠানের আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে তার মা, স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির আত্নীয় স্বজন চলে আসে। এদিকে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে আজ সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রবাসী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নববধূ তন্নী বেগম (২৮) স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্নাজড়িত কন্ঠে নববধূ তন্নী বেগম বলেন, কোন ক্রমেই আমার স্বামী আত্মহত্যা করেনি। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। এখনো আমার হাতে মেহেদীর রং জল জল করছে। আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। এভাবে বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তন্নী বেগম।
কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক সহ স্থানীয়রা জানান, দুবাই প্রবাসী মাসুদ ২৭ দিন আগে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে আসেন এবং ৯ দিন আগে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের খলিলগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করেন। গেলো কয়েকদিন ধরে তার বাড়িতে বিয়ের আমেজ চলছিল। গতকাল রোববার তার মা মনোয়ারা বেগম হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে মাসুদ চিকিৎসার জন্য তার মাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে যান। নববিবাহিতা স্ত্রীও তাদের সঙ্গে কুড়িগ্রাম বাপের বাড়ি যান। ডাক্তার দেখানোর পর মাকে ছোট বোনের বাড়িতে এবং স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে বাড়ি ফেরেন মাসুদ পারভেজ। রাতে তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল মৃত্যু্র কারণ জানার চেষ্টা করছে। সুরতহালের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তারপর পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।