নগরপিতা বেছে নিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিতে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটিতে মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন এবং তিনটি পৌরসভার (পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী পৌরসভা, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা এবং বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা) সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া তিনটি পৌরসভার (ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদ) মেয়রের শূন্যপদের উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন উপ-নির্বাচন নিয়ে ৯ মার্চ মোট ২৩১টি পদে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,পরিস্থিতি ভালো আছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে ।
জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়াও ভোটের এলাকায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের ৩৩টি মোবাইল টিম, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ টিম। ৩৩টি ওয়ার্ডে থাকছে র্যাবের ১৭টি টিম ও রযেছে ৭ প্লাটুন বিজিবি।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক।
অন্যদিকে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুজন।
দুই সিটি নির্বাচনেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকছে আইনশঙ্খলা বাহিনীগুলোর ১৬ জনের ফোর্স ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স। আর পৌরসভায় ১২ থেকে ১৪ জনের ফোর্স ও ইউপির নির্বাচনে ২২ জনের ফোর্স নিয়োজিত করেছে ইসি।