পবিত্র রমজানে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন গরুর মাংসের চড়া মূল্যের মধ্যে কম দামে বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোস্ত বিতানে ৫৯৫ টাকা দরে খলিলের মাংস বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
এ সময় মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, রমজানে ক্রেতাদের ৫০০ টাকায় মাংস খাওয়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গরুর দাম বেশি হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। তাই ৫৯৫ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছি। আশা করছি এই দরে মাংস বিক্রি করলেও লোকসান হবে না।
২৫ রোজা পর্যন্ত ছাড়কৃত মূল্যে এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে জানিয়ে শাজাহানপুরের আলোচিত এই মাংস বিক্রেতা বলেন, একজন ক্রেতা নির্ধারিত মূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি মাংস কিনতে পারবেন।
গরুর মাংসের দর কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত ওঠার মধ্যেই গেলো বছরের নভেম্বরে শাহজাহানপুর বাজারে খলিল গোস্ত বিতানের একটি ব্যানার ভাইরাল হয়। ‘প্রতি কেজি ৫৯৫ টাকা’ লেখা দেখে ক্রেতারা লাইন ধরেন সেই দোকানে। খলিলের দেখাদেখি আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী দাম কমিয়ে দেন। কিন্তু তাতে অন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন।
দাম কমানোর পরে বিক্রি বেশি হওয়ায় লাভও হচ্ছিল বলে তখন জানিয়েছিলেন খলিল। কিন্তু অন্য ব্যবসায়ীদের চাপে পড়েন তিনি। বিভিন্নভাবে হুমকিও পাচ্ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে খামারি ও মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতি কেজি মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এক মাস না পেরোতেই আবারও বাজারে বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। এখন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় রোজায় ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন ব্যবসায়ী খলিল।