সরকার সিন্ডিকেট দমনে ব্যর্থও নয়, তাদের কাছে জিম্মিও নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার অ্যাকশানে আছে। সরকার নিয়মিত কাজ করছে, ফলাফল আসবেই। সিন্ডিকেট ভাঙবে। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।
কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক আরও নিবিঢ় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃত কর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপর বাইরের কারো তো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।
কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপিকর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে।
তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত।