দেশজুড়ে

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচজনে। তারা হলেন, আরিফুল ইসলাম ও মইদুল। আরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। আর মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খা। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু'জনেরমৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের। সেখানেই রোববার ভোরে মারা যান তারা। এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা নামে একজনের মৃত্যু হয়। পরদিন শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা নামে এক শিশু ও ভোরে মনসুর নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন। গেলো বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময়ে বিস্ফোরণে আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩২ জন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গাজীপুরে | সিলিন্ডার | বিস্ফোরণ | নিহতের | সংখ্যা | বেড়ে | ৫