অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এবং আদেশে বলা হয়েছে বিদেশ যেতে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গেলো বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে আমানের আইনজীবী ঈদের আগে জামিন শুনানির জন্য আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির আজকের দিন ধার্য করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে এক দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানকে ২০০৭ সালে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমানের করা আপিল গত বছরের ৩০ মে খারিজ করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কারাবন্দি আমান পরে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল আবেদন করেন। আবেদনে তিনি জামিন প্রার্থনা করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি আদালতে আমান আত্মসমর্পণ করলে, আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
৩ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়। ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি তাকে এ বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মামলা করেছিল দুদক।