২০১৩ সালে ইতালিতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে সাজা হয়েচে ব্রাজিলের ফুটবলার রবিনহোর। তবে রবিনহোর এই শাস্তির বিষয়টি কিছুটা গোলমেলে। সাবেক এই তারকা অপরাধ করেছেন ইতালিতে। কিন্তু এর শাস্তি তিনি ভোগ করবেন নিজ দেশ ব্রাজিলে। কোন দেশে সাজা খাটতে হবে,এ সিদ্ধান্ত ভোটাভুটির মাধ্যমে হয়েছে।
গত বুধবার (বৃহস্পতিবার) ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় এক ভোটাভুটির মাধ্যমে কোন দেশে সাজা খাটবেন সেটি নির্ধারিত হয়।
জানা যায়, ৯টি ভোট পড়েছে ইতালিয়ান আদালতের শাস্তি দাবির পক্ষে আর ২টি ভোট পড়েছে রবিনহোর পক্ষে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, খুব দ্রুতই রবিনহোর সাজার মেয়াদ শুরু করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় সাবেক এই ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী জোসে আলকমিন।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন এবং তিনি রবিনহোকে জেলের বাইরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলাকালীন ২০১৩ সালে মিলানের এক নৈশ ক্লাবে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনহোর বিরুদ্ধে। সেই নারী নিজের জন্মদিনে ওই নৈশ ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানেই রবিনহোসহ আরও কয়েকজনের হাতে নির্যাতিত হন তিনি।
যদিও রবিনহোর দাবি, নারীর সঙ্গে সবকিছু পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছিল। তিনি এটিও দাবি করেন,ওই নারী পুরোপুরি মাতাল ছিল। এমনকি তার সঙ্গে কী হয়েছিল,সেটাও জানতো না।
উল্লেখ্য, এরপর ২০২০ সালে এর বিরুদ্ধে আপিল করেন এই তারকা। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালে রায় আসে। তাতেও দোষী প্রমাণিত হন রবিনহো।
আই/এ