স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী ও এক পুরুষ কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নেন। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় লিংরোড এলাকায়। সেখানে চালক জাহেদ হোসাইনকে (২৫) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গহীন পাহাড়ে। সেখানে গিয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে মুক্তিপণ চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা।
অপহরণ চক্রের হাতে বন্দি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানান সিএনজি চালক জাহেদের বড় ভাই ছৈয়দ হোসাইন।
তিনি জানান, গেলো বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত নয়টার দিকে কলাতলী মোড়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে সবশেষ পরিবারের কথা হয়। পরে তারই মুঠোফোন থেকে একাধিকবার ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তাকে লাশ হিসেবে দিবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
চক্রের হাতে বন্দি ভাইয়ের ভাষ্যের বরাত দিয়ে ছৈয়দ হোসাইন বলেন, তাকে কলাতলী থেকে এক নারী ও এক পুরুষ রামুর কলঘর বাজার যাবেন বলে ভাড়া নেন। লিংরোড পর্যন্ত যাবার পর অপহরণ চক্রের সদস্যরা তাকে অস্ত্রেরমূখে জিম্মি করে রেলপথ ধরে তাতে নিয়ে যাওয়া হয় গহীন পাহাড়ে। সেখান থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ভাইয়ের চিন্তায় মা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বার বার। এখনো কোন সন্ধান পায়নি। কক্সবাজার সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত কাইসার হামিদ বলেন, সিএনজি চালক নিখোঁজের জিডি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একজন অফিসার কাজ করছেন।
এদিকে, সিএনজি চালক অপহরণের ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করেছে র্যাব। তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তারপরই চূড়ান্ত অভিযানের কথা জানিয়েছে র্যাবের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।