বিজেপির বরখাস্তকৃত (সাসপেন্ডেড) মুখপাত্র নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনায় জেলাশাসকদের কাছে ক্ষতিপূরণের হিসাব চাইলেন কলকাতা হাইকোর্ট।
মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (দ) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মা। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা ও বিক্ষোভ হয়। অনেকে দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন করা হয়।
এ বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়। পথ অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি সোমবার উচ্চ আদালতের নির্দেশ, বেলডাঙা থানা ও পুরসভার সব সিসিটিভি ফুটেজ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। আগামী ২৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে হবে। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা করবেন। বিষয়টি ছয় সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তরাও প্রশাসনকে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব জানাতে পারবেন।
মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত জানান, অশান্তির ঘটনায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। রঘুদেবপুর এলাকায় বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান। এই সব ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চেয়েছে আদালত।