সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গত রোববার (২৪ মার্চ) রাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান।
সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ ও জিডির সূত্রে জানা যায়, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা পরিদর্শনে গিয়ে হিসাবে গরমিল ও সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে গত রোববার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্ত কিছু অডিট শেষে ক্যাশ ভোল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসেবে গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।
বেলকুচি থানার ওসি জানান, ঘটনাটি অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত হওয়ায় এটা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখবেন। এরপরও তারা যেহেতু অপরাধ করেছেন তাই তাদেরকে সকালে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক জানান, তাদের জিডির কপিটি হাতে এসেছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতির জন্য কমিশনে আবেদন পাঠানো হবে। অনুমতি আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা হলেন জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান (৩৪)।