সম্প্রতি অ্যাপল ও গুগলকে নিজেদের অ্যাপ স্টোর থেকে চাইনিজ শর্ট-ভিডিও (স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও) তৈরির প্ল্যাটফর্ম টিকটককে সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) প্রধান ব্রেন্ডন কার। ( সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস )
চিঠিতে কার বলেন, ব্যবহারকারীর অনেক সংবেদনশীল ডাটা (তথ্য) সংগ্রহ করে টিকটক। নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এসব তথ্য বেইজিংয়ের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে তিনি অ্যাপলের সিইও টিম কুক এবং গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের উদ্দেশে বলেন, আপনার অ্যাপ স্টোর থেকে লাখ লাখ আমেরিকান টিকটক ব্যবহার করছেন এবং তাদের সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ সংবেদনশীল ডাটা সংগ্রহ করছে অ্যাপটি।
ব্রেন্ডন কার আরও বলেন, টিকটক বেইজিং-ভিত্তিক বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন, যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিষ্ঠান। চীনের আইন অনুযায়ী দেশটির নজরদারির দাবি পূরণ করতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।
গেলো সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম বাজফিড জানায়, বাইটড্যান্সের কর্মীরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবহার করছে।
ব্রেন্ডন কার বলেন, এটা স্পষ্ট টিকটক জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। কারণ, অ্যাপটির সংগ্রহ করা বিপুল পরিমাণ সংবেদনশীল ডাটা বেইজিংয়ের হাতে চলে যাচ্ছে।
তবে এখনও কারের চিঠির বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি অ্যাপল ও গুগল।
টিকটক ব্যবহারকারীর ডাটা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে এবারই প্রথম নয়। সর্বশেষ বিতর্কের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিকটকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সংস্থাটির লক্ষ্য মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটার সুরক্ষা সম্পর্কে সব ধরনের সন্দেহ দূর করা।
২০২০ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের জন্য টিকটক নিষিদ্ধ করে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়ই চীন সরকারের সঙ্গে ক্ষুদ্র ভিডিও তৈরির অ্যাপটির সম্পর্ক নিয়ে এবং কীভাবে এটি মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটাকে প্রভাবিত করে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সম্প্রতি, টিকটক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এটি মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডাটা দেশটির মধ্যেই ওরাকল সার্ভারে সরিয়ে রেখেছে।
এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি জানায়, এটি ওরাকেলে মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডাটার ডিফল্ট স্টোরেজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং মার্কিন ব্যবহারকারী ট্রাফিকের ১০০ শতাংশই এখন ক্লাউড প্রদানকারী দিয়ে হোস্ট করা হয়।
এসি