আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ‘ছোট ভুলে’ প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া কোনো ভুল তাৎক্ষণিক সংশোধনের সুযোগ থাকলে প্রার্থীকে অবগত করে তা নিষ্পত্তির জন্যও বলেছে ইসি।
রোববার (৩১ মার্চ) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় অনেক প্রার্থীর নামের বানান অথবা পিতার নাম, স্বামীর নাম-ঠিকানা বা এ সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে নাও থাকতে পারে। ভোটার তালিকায় এ ধরনের ভুল অনেকের দৃষ্টিগোচর হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। শুদ্ধভাবে প্রার্থীর নামসহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে গিয়ে ভোটার তালিকায় উল্লেখিত নাম বা অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে হুবহু নাও মিলতে পারে। এ ধরনের অমিলের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না।
এছাড়া মনোনয়নপত্রে ভোটার তালিকায় ক্রমিক নং, ভোটার নম্বর, ভোটার এলাকার নাম বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিপিবদ্ধকরণে কোনো ভুল করলেও মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না। অনুরূপভাবে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর ক্ষেত্রেও উক্তরূপ ভিন্নতা ও শুদ্ধিকরণ গ্রহণযোগ্য হবে। উল্লেখিত ক্ষেত্রে প্রার্থীর বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীর নামের বানান ও তথ্যাদি যাচাইয়ের জন্য প্রার্থীর বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীর এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট বা অন্য কোনো সার্টিফিকেট অথবা স্বীকৃত কোনো পরিচয়পত্র দেখে নিশ্চিত হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার যেকোনো ভোটারের এলাকার ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। ফলে মনোনয়নপত্রে প্রার্থী ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর, ভোটার নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনেক সময় ছোটখাটো ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে দেখা যায় আপিল করে সংশ্লিষ্টরা প্রার্থিতা ফিরে পান। এতে ব্যালট পেপার ছাপাতে জটিলতা দেখা দেয়। অনেক সময় ছাপানো ব্যালট পেপার বাতিল করে নতুন করে কোনো কোনো প্রার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যালট পেপার ছাপাতে হয়। এতে ব্যাপক অর্থের অপচয়ের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এমন নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
প্রসঙ্গত, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। এরপর ২৩ মে ও ২৯ মে এবং ৫ জুন আরও তিন ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।