গাইবান্ধা সদর উপজেলায় রাজিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ সন্তান কোলে নিয়ে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্র জুবায়ের রহমান জামিল নিহত হয়েছেন। কিন্তু গৃহবধূকেও আর বাঁচানো যায়নি। তবে কোলের সন্তানটি জীবিত রয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালের দিকে গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজ সংলগ্ন রেল লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজিয়া বেগম সদর উপজেলার মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। কলেজছাত্র জুবায়ের রহমান জামিল সদরের এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সায়েন্সের সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে ও সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে রাজিয়া বেগম নামের এই নারীকে বরিশাল থেকে বিবাহ করে নিয়ে আসেন আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জেরে কোলের সন্তান নিয়ে বাড়ির পাশের রেল লাইনে আত্মহত্যা করার জন্য শিশু সন্তানসহ শুয়ে পড়েন। এ ঘটনা দেখে মেসে থাকা এক কলেজছাত্র রেললাইন থেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। এ সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ওই গৃহবধূসহ কলেজ ছাত্রটিও গুরুতর আহত হন। আহত গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কলেজ ছাত্রকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর ওই গৃহবধূ এবং তাদের বাঁচাতে যাওয়া যুবক মারা যান। তবে, কোলের শিশুটি জীবিত রয়েছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।